
মাটির নীচে অদ্ভূত শব্দ
ভূমিকম্পে কাঁপলো দিল্লি
- আপলোড সময় : ১৮-০২-২০২৫ ১১:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৮-০২-২০২৫ ১১:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন


সাতসকালে ভূমিকম্প হয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। গতকাল সোমবার ভোরে স্থানীয় সময় ৫টা ৩৬ মিনিটে এই ভূম্পিকম্প অনুভূত হয়। এসময় কেঁপে ওঠে ভারতের রাজধানী শহর ও এর আশপাশের এলাকা। এ সময় মাটির নীচে অদ্ভূত এক গর্জনের মতো শব্দ শোনা যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে। লোকজন ছুটোছুটি করে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দিল্লি ছাড়াও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ভারতের আগ্রা, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন জায়গায়। চার মাত্রার এই ভূমিকম্প সাড়া ফেলে দিয়েছে দিল্লিতে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভূমিকম্প নিয়ে পোস্ট করেছেন। বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এখনও আতঙ্ক কাটেনি সেখানকার বাসিন্দাদের। এই ভূমিকম্পের পর দিল্লির অনেকে বলছেন, তারা কম্পনের সময়ে মাটির নীচ থেকে ‘অদ্ভূত গর্জনের মতো শব্দ’ শুনতে পেয়েছেন। যা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কেন এই শব্দ? ভূমিকম্পে শব্দ হওয়া কি স্বাভাবিক? কী বলছে বিজ্ঞান? ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) তথ্যানুযায়ী, কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হওয়া এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দিল্লিতেই। দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়ায় দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অব স্পেশ্যাল এডুকেশনের জমির ঠিক নীচে ভূমিকম্প হয়েছে। মাটি থেকে তার গভীরতা মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ভূমিকম্পের গভীরতা কম থাকলে অনেক ক্ষেত্রে শব্দ হতে পারে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) অনুযায়ী, ভূমিকম্পের সময়ে ভূমি কাঁপে। এর ফলে ছোট ছোট ভূকম্পীয় তরঙ্গ তৈরি হয়। এগুলো মাটির উপরে হাওয়ার সংস্পর্শে এলে শব্দতরঙ্গ তৈরি করে। ভূমিকম্পের ফলে উৎপন্ন প্রথম তরঙ্গের নাম পি-ওয়েভ। এগুলো শব্দতরঙ্গের মতোই। মাটির উপরেও সেই কম্পনের শব্দ শোনা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্র যত অগভীর হবে, তার শক্তি মাটির উপরে ধাক্কা দেবে তত বেশি। উচ্চ কম্পাঙ্কের ভূকম্পীয় তরঙ্গ যদি মাটির নীচে তৈরি হয়, তবে তার শব্দ উপর থেকেও শোনা যেতে পারে। জমি শক্ত হলে গর্জন-শব্দ বেশি হতে পারে। দিল্লির ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে বলে মত অনেকের। দিল্লির বাসিন্দারা অনেকেই মানতে পারছেন না, রিখটার স্কেলে সোমবারের ভূমিকম্পের মাত্রা মাত্র চার ছিল। উৎসস্থল অগভীর হওয়ার কারণে মাত্র চার মাত্রাতেই এত কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাসিন্দারা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, এই ধরনের কম্পন এর আগে কখনও অনুভব করেননি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ